অর্বিট ডেস্ক- উকইএন্ড ট্যুরে, দীপুদা মানে দীঘা, পুরী, দার্জিলিং ছাড়িয়ে ঘুরে আসুন একটু অন্য জায়গায়। শান্ত, নিরিবিলি, নির্জন এক পর্যটন কেন্দ্র। বেড়ানোর খরচ যেমন কম, তেমনই জায়গাটিও বেশ মনোরম।
আজকে যে জায়গা নিয়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা তা হল পড়শি রাজ্য বিহার। প্রাকৃতিক শোভার সঙ্গে দেখে নেওয়া প্রাচীন স্থাপত্য ও পুরাকীর্তী। যা আপনাকে শুধু আনন্দই দেবে না, পাবেন একদম ভিন্ন স্বাদের সফর। কাহালগাঁও। হাওড়া থেকে সরাসরি তিনটি ট্রেন যাচ্ছে, হাওড়া-গয়া স্পেশাল, অঙ্গ এক্সপ্রেস এবং হাওড়া-জামালপুর সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। কম বেশি সাত থেকে সাড়ে সাত ঘণ্টার যাত্রাপথ।
কাহালগাঁও জনপদে দুটো দিন অনায়াসে কাটিয়ে আসতে পারেন। এখানে একে একে দেখে নিন তাপসধাম মন্দির, ভারতের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বিক্রমশীলা এবং মাহমুদ শাহের সমাধি।
বিক্রমশীলা প্রাচীন ভারতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে নাম উঠে আসে, নালন্দা, তক্ষশীলা। তার পরেই যে নাম লিপিবদ্ধ আছে তা হল বিক্রমশীলা। অষ্টম শতকে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন পাল রাজা ধর্মপাল। এখানে মূলত বৌদ্ধ তন্ত্রশাস্ত্র পড়ানো হত। যার মধ্যে বিষয় ছিল, থিওলজি, ফিলোজফি, গ্রামার, মেটাফিজিক্স এবং লজিক বা যুক্তিশাস্ত্র। বিক্রমশীলা কাহালগাঁও থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে।
তাপসধাম মন্দির কালাহগাঁও স্গটেশন থেকে কয়েকশো মিটার দূরেই গঙ্গা নদী। তার বুকে রয়েছে কয়েকটি ছোট দ্বীপ আর সেখানে আছে ছোট মন্দির। অপরূপ শোভা ও মনোরম পরিবেশ।
মাহমুদ শাহের সমাধি- বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব ছিলেন মাহমুদ শাহ। ১৫৩৯ সালে তিনি কাহালগাঁওতে মারা যান। শের শাহ বাংলায় আক্রমণ চালালে, মাহমুদ শাহ মুঘলদের সঙ্গে হাত মেলায়। যুদ্ধে শের শাহকে আটকাতে পারলেও, তাঁর দুই সন্তান যুদ্ধে মারা যান। এর পরেই, তিনি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে, রোগগ্রস্ত হয়ে মারা যান।
ভাগলপুরী সিল্ক বিশ্ব বাজারে ভাগলপুরী সিল্কের একটা বড় বাজার আছে। তাই এই সফরে দেখে নিতে পারেন ভাগলপুরী সিল্কের সুতিকাগার। ইচ্ছে করলে কেনাকাটাও করে নিতে পারেন।
আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করতে এই লেখায় ক্লিক করুন। আর আপডে়ট পেতে থাকুন
ভ্রমণ ও নানা বিষয়ে খবরাখবর পেতে যুক্ত হয়ে যান আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে। সেই সঙ্গে ORBIT News এর ফেসবুক পেজ ফলো করতে ভুলবেন না।