অর্বিট ডেস্ক– তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের উপর একটানা গোলাবর্ষণ করতে গিয়ে কার্যত বুমেরাং হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের কাছে। নরেন্দ্র মোদির একটি চালেই বিরোধীদের সব বান ধুলিস্মাত্।
গত কয়েক মাসে হুহু করে তেলের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, বিপাকে পড়ছেন দেশের সাধারণ মানুষ। প্রেটোল, ডিলেজ, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে চাপ বাড়ছে বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির উপর। একাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, বিরোধীরা দেশের গরিব মানুষদের মুখ দেখিয়ে সিমপ্যাথি আদায় করতে চাইলেও, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে নারাজ নরেন্দ্র মোদির সরকার।
তার অন্যতম কারণ, দেশের গরিব মানুষদের জন্য যে জনকল্যাণ প্রকল্প রয়েছে, তাতে তারা সুরক্ষিত। যেমন একশো দিনের কাজ, বিনামূল্যে রেশন। অন্যদিকে, বিপাকে পড়েছেন নিম্নমধ্যবিত্তরা। কারণ অনেকের কাছেই বি পি এল কার্ড নেই ফলে তারা লকডাউনের সময়ে কাজ হারিয়ে সত্যিকারের গরিবের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। অথচ তারা কোনও জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না।
বিরোধী দলগুলি এতো দিন যেটি করে এসেছে, সেই পার্টির লোকের মুখ দেখে, বি পি এল কার্ড দেওয়া, একশো দিনের কাজে নাম নথিভুক্ত করা, জাতি কার্ড বিলি করা। এমন বহু অনৈতিক মৌচাক ভাঙতে চলেছেন।
কেন্দ্র সরকারের এক আমলার মতে, লক ডাউন পিরিয়ডে কেন্দ্র সরকার চুপিসারে একটি ডেটাবেস তৈরি করেছে। তা হল, এই একশো দিনের কাজে সত্যি কারা রয়েছে। দেখা গিয়েছে, বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে বহু পরিযায়ী শ্রমিক গুজরাট, তামিলনাড়ু, কেরালা, মুম্বই, দিল্লিতে কাজ করেন। তাদের দৈনিক মজুরি যথেষ্ট ভালো। অথচ তাদের একশো দিনের খাতায় নাম রয়েছে টাকাও উঠে যাচ্ছে। আর সেই টাকা চলে যাচ্ছে বিরোধী নেতাদের হাতে।
এমন বহু প্রকল্পের টাকা ঘুরপথে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে, অতছ সেই টাকা অন্য কোনও জনমুখী প্রকল্পে খরচ করা যেত। এখানেই ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী।