স্বাতী চ্যাটার্জি- কাশ্মীর, কেরালা, দক্ষিণভারত, উত্তরভারতসহ গোটা ভারততো বেড়াবেন। আমাদের দেশে দেখার জায়গা অনেক। প্রাকৃতি, স্থাপত্য, সংস্কৃতি কী নেই। আর উইকেন্ডেও বেড়াতে চাইলে দিঘা, পুরী, দার্জিলিং ছাড়া আপনারা বাংলা ও পাশের রাজ্যে অনেক জায়গার হয়তো খোঁজ জানেন। কিন্তু হলফ করে বেলতে পারি, আমাদের পোর্টালেই প্রথম, এই অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজখবর দিচ্ছি।
আপনারা অনেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের অমরনাথের কথা শুনেছেন বা দেখেছেন। মহাদেবের এই আদি বাসস্থানে অনেকেই যান সফর করতে। কিন্তু এটা জানেন কি? আমাদের পড়শি রাজ্যেই রয়েছে এমন আর এক অমরনাথ। যেখানে প্রতি বছর কার্তিক পূর্ণিমার দিন, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ আসেন এখানে। শুধু ভারতই নয়, বাংলাদেশ এমনকী, নেপাল থেকেও আসেন এখানে। হ্যাঁ পার্থক্য একটা, এই অমরনাথে আসেন সাঁওতাল জানজাতির মানুষের। জায়গার নাম লুগুবুরু ঘণ্টাবাড়ি (Luguburu Ghantabari)।
ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাহাড় শৃঙ্গ। এখানে রয়েছে জঙ্গল, খাড়াই পাহাড়ি পথ এবং ঝরনা। একদম নির্জন নিরিবিলিতে দুটোদিন কাটাতে চাইলে ঘুরে আসতেই পারেন এখানে। মনে হবে যেন, এক আদিম প্রকৃতির কোলে দুটো দিন কাটালেন। আগেই বলেছি, সারা ভারতের সাঁওজাল জনজাতি মানুষের কাছে একটি অত্যন্ত পবিত্র এক জায়গা। কিন্তু এর পিছনে কাহিনীটা কী?
সাঁওতাল জনজাতির মানুষেরা মনে করেন, পৃথিবী সৃষ্টির পর, দেবতারা এই পাহাড়েই প্রথম অবতীর্ণ হয়ে, সামাজিক রীতি, নীতি, নিয়ম কানুন, আচার ব্যবহার কী হওয়া উচিত, তা ঠিক করেছিলেন। এখানে যে লুগু বাবার পুজো হয়, তা আদি দেবাদিদেব মহাদেবেরই একটি প্রতিরূপ।
আরও ভ্রমণের খবর জানতে নজর রাখুন, ভ্রমণ বিভাগে
যাবেন কীভাবে? হাওড়া থেকে শক্তিপুঞ্জ ট্রেন ধরে, গোমিয়া (গোমো নয়) স্টেশনে নামতে হবে। স্টেশন থেকে ৫ মিনিটের হাঁটা পথের মধ্যেই কিছু হোটেল পাবেন, রাত্রিবাস করতে পারেন। পরের দিন সকালে, অটো ভাড়া করে ঘুরে নিতে পারেন লুগুবুরু ঘণ্টাবাড়ি পাহাড় ও ঝর্না। চাইলে আসে পাশের আরও কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে, দেখে নিতে পারেন। চাইলে যেতেও পারেন হাজারিবাগের দিকে।
এমন অফবিট ভ্রমণের খবরাখবর পেতে আজই আমাদের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হতে পারেন।