অর্বিট নিউজ- শীতলকুচি কাণ্ডের পর সরাসরি সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রাখার জন্য সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। নির্দেশিকায় বলা হয় মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত কোনও নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।
আর এই নির্দেশিকাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে নির্বাচনকে আক্রমণের লক্ষ্য বানালেন তিনি। এবং ব্যবহার করলেন সেই পুরনো অস্ত্র ধর্না। সোমবার নিরাবচন কমিশনের এমন নিষেধাজ্ঞায় পুরো হুলুস্থুল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। কোনও দলের প্রধান এবং তিনি এখনও ক্ষমতাসীন সরকারে আছেন, তবু তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা কার্যত নজির বিহীন। তৃণমূলের মুখপত্রস ডেরেক ও ব্রেয়েন বলেন, EC মানে এক্সট্রিমলি কম্প্রোমাইজড। তিনি ট্যুইট করে জানান, ১২ এপ্রিল গণতন্ত্রের পক্ষে কালাদিবস।
প্রথম দফার নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দফা যত এগিয়েছে বিজেপি এ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মুহুর্মুহু আক্রমণ শানিয়েছেন। এমনকি দলীয় কর্মীদের একাধিকবার উস্কানি দিতে শোনা গিয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন হাতা খুন্তি নিয়ে যাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়।
আট দফার ভোটের মধ্যে চতুর্থদফাতেই নির্বাচনী নাটকের চূড়ান্ত রূপ দেখা গিয়েছিল শীতলকুচিতে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণ। ফল স্বরূপ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যু। ঘটনাচক্রে চারজনই সংখ্যালঘু হওয়ায়, পালে হাওয়া টানতে নেমে পড়ে তৃণমূল এবং বামেরা। অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্ব একের পর এক বিতর্কিক মন্তব্য করতে থাকেন।
পাল্টা সুর চড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সংখ্যালঘু ভোটকে হাতিয়ার করতে প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখছেন এই অভিযোগ আনে কমিশন। সোমবার রাতেই ২৪ ঘণ্টার জন্য তাঁর প্রচারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।