অর্বিট ডেস্ক-যুদ্ধ জয় করতে জনগনের আবেগকে যে কৌশলে হাতিয়ার করতে হয়, তা আসল যোদ্ধারা বোঝেন। আর কোন সময়ে কোন হাতিয়ারকে ব্যবহার করতে হয়, সেটা অভিজ্ঞ ফাইটাররা জানেন।
কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে যখন প্রধান সহযোদ্ধারা একে একে বিরোধীপক্ষের দিকে চলে যায়, তখন লড়াই চালিয়ে যুদ্ধ জয় করা আসল ফাইটারের লক্ষন।
নির্বাচনের দিন ঘোষণার মাস খানেক আগে থেকে, তৃণমূলে বাঘা বাঘা উইকেট পড়েছে। মেদিনীপুর, হাওড়া, আসানসোলসহ রাজ্যের বিভিন্ন কোনায়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
পাশাপাশি বাংলার গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডেও বড়সড় থাবা বসিয়েছে বিজেপি। ঠিক গঙ্গা ভাঙনে পাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ছোট, বড়, প্রাসাদ সমান বাড়ি এক লহমায় তলিয়ে যায়, ঠিক সেই ভাবে তৃণমূলের ঘরে ভাঙন ধরিয়েছে বিজেপি।
এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে তৃণমূল কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে আবেগকেই হাতিয়ার বানালেন তিনি। আর প্রচার ময়দানে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পা নিয়ে যুদ্ধ জয়ের জন্য মাঠে নামলেন। যদিও দুই যুযুধান বিরোধী শিবির এই কৌশলকে ভালো চোখে নিচ্ছে না। কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী আগেই মুখ খুলেছিলেন এবং বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তবে এই পরিস্থিতিতে যে নন্দীগ্রামের দুর্ঘটনাই মমতার পক্ষে শাপে বর হতে চলেছে, তা প্রচার ময়দানের আলোই পরিষ্কার করে দিচ্ছে।