ডিজিটাল অ্যাডগুরু- ধনী প্রত্যকেই হতে চায়, কিন্তু তার জন্য যে পরিশ্রম দিতে হয়, সেটা অনেকে দিতে চান না। আবার অনেকে অনেক পরিশ্রম করেন, কিন্তু মিস গাইডের জন্য আর বারবার ভুল সিদ্ধান্তের জন্য হতাশা গ্রাম করে। কিন্তু একটু বুদ্ধি করে, আর সময়কে চিনতে পারলেই কেল্লা ফতে। এর জন্য খুব বেশি পড়াশুনার প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন পড়ে না কোনও বড় ব্যক্তির সহযোগিতা। প্রয়োজন শুধু ইচ্ছাশক্তি, বাজার বোঝার ক্ষমতা আর মার্কেটিং ট্রিক্স।
অনেকেই চান অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যাবসা শুরু করে ভালো মুনাফা তুলতে। এই বাজারে সেটা সম্ভব। এমনই বেশ কয়েকটি আইডিয়া নিয়ে আমরা হাজির আজকের পর্বে। তবে আপনি যদি ভাবেন এ ব্যবসা সবাই করছে, সাফল্য কীভাবে আসবে? তাহলে বলবো, প্রতিযোগিতার মধ্যেই রয়েছে সাফল্য। তার বড় উদাহরণ মুকেশ অম্বানির জিও মোবাইল। স্যাচুরেটেড মার্কেটের মধ্যেই বুলেট গতিতে নিজের বাজার দখল করে নিয়েছে। আর এই মার্কিটিং ফর্মুলার নাম বুলেট ফর্মুলা। এখানে মূলত পাবলিক সাইকলোজিকে ধরেই ব্যবসা বাড়ানো হয়েছে। এই ফর্মুলা আপনি পেয়ে গেলে, আপনার ব্যবসাও কয়েক মাসেই রকেট গতিতে এগোবে। সে নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে।
১। স্টেশনারি ব্যবসা: খাতা-কলম বই-পুস্তকের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে বাড়ছে অফিস আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং এর বিভিন্ন দফতর। প্রত্যেক জায়গাতেইরেজিস্টার খাতা, পেন্সিল, কলম, ফাইল ইত্যাদির দরকার পড়ে। স্টেশনারিতে এই সব প্রয়োজনীয় খাতা, কলম, পেন্সিল, স্কেল, জ্যামিতি বক্স, বায়োলজি বক্স ও নানা ধরণে পড়াশুনার উপকরণ পাওয়া যায়। এর চাহিদা থাকে সারা বছর।
২। মুদিখানা দোকান: যে কোনও নারী পুরুষ নিজেরে ঘরের একটা অংশ নিয়ে মুদিখানা দোকান চালাতে পারেন। এই পেশায় বেশ ভালো উপার্জনের ব্যবস্থা রয়েছে। এই ব্যবসার দুটি ভাগ রয়েছে, স্থানীয় ব্যবসা ও অনলাইন। আপনার এলাকায় অনায়াসে অনলাইনও ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সেক্ষেত্রে স্থানীয়দের তুলনায় আপনার বাজারের পরিধি বাড়বে। এই ব্যবসায় খুব দ্রুত পরিচিতি পাওয়া যায়। তবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হয়। আর সেগুলি করতে পারলেই, আপনার কাস্টমাররা চিরকালের জন্য আপনার কাছেই থাকবে। নয়তো মাসখানেক, মাস দুয়েক এসে আবার অন্য দোকানে ভিড় জমাবে।
যে কোনও ব্যবসায়, সস্তায় রকেট মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করতে পারেন আপনিও +919062040724
৩। ফ্লেক্স ব্যানারের দোকান: আগে হাতে লিখে ব্যানার করা হত, বা কোনও ভিনাইলে প্রিন্ট করানো হত। এখন যে কোনও অনুষ্ঠান থেকে উত্সবে ফ্লেক্স ব্যানারের চাহিদা বাড়ছে। বাড়িতে কম্পিউটার থাকলে আর ডেস্কটপ পাবলিশিং জানলে এই ডিজাইনের কাজ ধরে নিতে পারেন। হাতে পুঁজি কম থাকলে, কলকাতা থেকে দিনে দিনে ব্যানার প্রিন্ট করিয়ে আনতে পারেন। আর একটু বিনিয়োগ করলে নিজে প্লটার মেশিন বসিয়ে বাড়তি মুনাফা অর্জন করতে পারেন। বিজ্ঞাপণীর জন্য রাজনৈতির দল থেকে বিভিন্ন সংগঠন, দোকানদার ফ্লেক্স ব্যানার করিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে লোকাল মার্কেট ছাড়াও বাইরে কলকাতার একটা বড় বাড়ার ধরতে পারেন।
৪। বই বাঁধানো: স্কুল কলেজ থেকে, সরকারি বেসরকারি দফতর, লাইব্রেরি বা প্রকাশনা সংস্থা সব জায়গাতেই বই খাতা বাঁধাইয়ের একটা বড় বাজার রয়েছে। মোটামুটি সমস্ত সিজিনেই, এই ব্যবসার ভালো বাজার রয়েছে। এখন অনলাইন মার্কেটের যুগে এই ব্যবসার পরিধি অনেকটা বেড়েছে। ফলে ভালো কাজ করতে পারলে, স্থানীয় পরিচিতি ছাড়াও বাইরে থেকে অর্ডারের কাজ ভালো পাওয়া যায়।
৫। গুঁড়ামসলা তৈরি ও প্যাকেটজাতকরণ: খাদ্যের ক্ষেত্রে মশলার বাজার সারা বছরই থাকে। তাই বহু ব্যবসায়ী এই মশলা খুচরো বিক্রি করেন। কিন্তু এই মশলা বাজার থেকে তুলে প্যাকেটজাত করে নিজস্ব ব্রান্ড করতে পারলে ভালো মুনাফা আছে। আগামী দিনে কেন্দ্র সরকার খাদ্যসামগ্রী প্যাকেটজাত করার দিকে বেশি ঝুঁকছে। এতে যেমন বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে, তেমন এমন মানও ভালো থাকে। ফলে এখন থেকে এই ব্যবসায় নামতে পারলে, ঝুঁকি অত্যন্ত কম। তবে গুঁড়ো মশলা প্যাকেট জাত করে নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরির আগে একটা পাকাপোক্ত ছোট বাজার ধরে নিতে হবে। তারপর মাছের তেলে মাছ ভাজার মতো, ধাপে ধাপে ব্যাবসা বাড়াতে হবে। ঠিকঠাক বিপণী করতে পারলে তিন বছরে মধ্যে নিজস্ব ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হয়ে যাতে পারে। সেক্ষেত্রে সস্তায় মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করাটা জরুরি।