অর্বিট ডেস্ক-গত বিধানসভা নির্বাচনে সারদা নারদার মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও একক সংখ্যাগরিষ্টতায় জডয় ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালের থেকেও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল তৃণমূল। কিন্তু ২০১৮ সালের লোক সভা নির্বাচনে কোথাও যেন একটু বেশি ধাক্কা দিয়েছ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
২০২১ এর নির্বাচনে বিজেপির জোর হাওয়া সত্ত্বেও, পাল্টা ঝড় তুলছে বামেরা। নির্বাচনী বৈতরণীর পালে শক্ত হাতে হাল ধরেছে, বাংলার নতুন ভাইজান। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। গত কয়েক মাস ধরেই, রাজনীতির ময়দানে পা রাখার বার্তা দিয়ে এসেছেন তিনি। তবে নির্বাচনী দিন ঘোষণার মাস খানক আগে নতুন দল তৈরি এবং বাম কংগ্রেস জোটে যুক্ত হয়ে বাংলার রাজনীতিতে নতুন জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
আব্বাস সিদ্দিকীর নামে দুটো অভিযোগ ঘোরাফেরা করছিল, প্রথম, তিনি ধর্মগুরু, দ্বিতীয় তিনি কট্টরপন্থী বার্তা দিয়ে থাকেন। যদিও রাজনীতির ময়দানে পা রাকার সঙ্গে সঙ্গে, কট্টর ও বিদ্বাষমূলক বার্তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
গত ব্রিগেড ময়দানে সংযুক্ত মোর্চার সভায় ব্যাপক জনজোয়ার দেখতে পাওয়া যায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, এই জনজোয়ারের পিছনে আব্বাসের হাতযশ রয়েছে। পাশাপাশি ভাইজান, বার্তাও দিয়েছেন, এই লড়াইয়ে তিনি বাম কংগ্রেসের সঙ্গে সামিল হয়েছেন ভাগীদার হিসেবে। অর্থাত তিনি আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, সংযুক্ত মোর্চা ক্ষমতায় এলে মন্ত্রীসভায় একটি বড় জায়গা দখল করবে।
আগামী ২ মে নির্বাচনের ফল, সংযুক্ত মোর্চা ক্ষমতায় এলে, আব্বাসই কি মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য দর কষাকষিতে নামতে পারে? এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে। তার অন্যতম কারণ, বাংলার মানুষ কংগ্রেস এবং বামেদের সরকার দেখেছে, আবার তৃণমূলের সরকারও দেখেছে, বরাবরই মুসলিমদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে দেখা হয়েছে। এবার সেই ক্ষমতা তারা নিজেদের হাতে পেতে চায়।