Breaking News

শিবপুর পুলিশ লাইনে ঠিক কী হয়েছিল? পড়ুন, হ্যামিলটন সাহেবের শয়তানি কলম

কাহিনির প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

হ্যামিলটন সাহেবের শয়তানি কলম- অন্তিম পর্ব

পূর্ণেন্দু ব্যানার্জি- তিনি নিজেই উদ্যোগে নিলেন হ্যামিলটনকে এলাকা থেকে সরাতে। ডি আই বির পাওয়া তথ্য ফ্রান্সিস সাহেব জানালেন অবনীকুমারকে। তিনিও খবর শুনে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লেন। খবরটা ছিল, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর থেকে বহু মহিলা, কিশোরীকে পাচার করা হয়েছে। কুষ্টিয়া, রেঙ্গুন, লাহোরে মহিলা পাচারের চক্রটি চালাচ্ছেন হ্যামিলটন সাহেব ও তার দুই সাগরেদ।

ফ্রান্সিস সাহেব ও অবনীকুমার দুজনেই এর একটা বিহিতের রাস্তা খুঁজতে থাকেন। ফন্দি আঁটলেন। ডুয়েল খেলার মাধ্যমে। ১৭৭০-৭২ সাল নাগাদ কলকাতার বেলডেভার হাউসে এই ডুয়েল খেলার আমদানি করেছিল ইংরেজরাই। সাহেবরা একে অপরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সম্মুখ সমরে নামতেন। বিষয়টি খেলা হলেও, লড়াই চলে যেত গুরুগম্ভীর পর্যায়ে। তবে মাথায় রাখতে হত, প্রাণহানি যাতে না ঘটে। একবার বন্দুক ব্যবহারেরও অনুমতি মেলে, কিন্তু সেবার এক সাহেবের প্রাণ চলে যাওয়ায় বন্দুকের ব্যবহার তুলে নেওয়া হয়। এক সময় এই খেলায় ওয়ারেন হেস্টিংস এবং স্যার ফিলিপ ফ্রান্সিস সম্মুখ সমরে নেমেছিলেন তারই ইতিহাস রয়েছে। দিনটা ছিল ১৭ অগাস্ট ১৭৮০।

সেই খেলা চলছে প্রায় ১১০ বছরের উপর, কলকাতাতেই। সময়টা ১৯০৪, মানে বঙ্গভঙ্গের ঠিক এক বছর আগে, হ্যামিলটন সাহেবকে চ্যালেঞ্জ জানালেন ফ্রান্সিস উড সাহেব। আধ ঘণ্টার লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে নিলেন ফ্রান্সিস সাহেব। লড়াইয়ে আগে শর্ত রাখা হয়েছিল বদলির। শর্ত অনুসারে হ্যামিলটন সাহেবকে পাঠানো হল, কুষ্টিয়ার পোর্ট অফিসার হিসেবে। আর ফ্রান্সিস সাহেব হলেন হাইকোর্টের কোর্ট অফিসার।

হ্যামিলটন সাহেবের বাংলোয় এলেন তিনি। হ্যামিলটন সাহেব বাংলো ছাড়ার দিন ফ্রান্সিস সাহেবকে তিনটি কলম গিফ্ট করলেন, এবং হাসিমুখে বললেন, Welcome to devil’s land. শয়তানের গড়ে স্বাগত। ফ্রান্সিস সাহেবকে তিনি আরও বললেন, তুমি ডায়েরি লেখা শুরু করো, এটা আমার অনুরোধ। আর লিখবে কিন্তু এই কলমে, আমার প্রিয় এই কলমে, লড়াইয়ে হেরেছি ঠিকই, প্রতিপক্ষ ছিলাম, শত্রুতো নই। সম্মান রাখতেই পারো।

হ্যামিলটনের উপহার দেওয়া পেন দিয়ে সত্যিই ডায়েরি লেখা শুরু করলেন ফ্রান্সিস সাহেব। এক নারকীয় কালো অধ্যায় লেখা শুরু করলেন। দুটো ডায়েরি শেষ হল। তিন নম্বর ডায়েরি লেখা শুরু করতে গিয়ে কিছু সমস্যা হতে লাগল, থেমে যেতে লাগল তাঁর হাত। হ্যামিলটনের কলম ছুঁতেই কেমন যেন ঘেন্না করতে লাগল।

হ্যামিলটন সাহেব শিবপুর ছাড়ার পর, তার দুই সাগরেদের একজন মইনুদ্দিনকে ডেকে পাঠাতেন ফ্রান্সিস সাহেব, শুনতেন হ্যামিলটনের পূর্ণাঙ্গ কাহিনি আর তা লিখতেন ডায়েরিতে। মইনুদ্দিনের কাহিনি শুনতে শুনতে ফ্রান্সিস সাহেব প্রায় অসুস্থ বোধ করতেন। তিনি ঠিক করলেন, আর হ্যামিলটনের কলমে নয়, লিখবেন নিজের কলমে।

দিন সাতেক কাটল, তিনি অনুভব করলেন, তিন নম্বর ডায়েরির পাতা যতই এগোচ্ছে, ততই তার হাত অবশ হয়ে উঠছে, এক অদৃশ্য, অদ্ভুত আসুরিক শক্তি যেন বাধা দিচ্ছে। দিন সাতেক বিরতির পরেও সেই এক চিত্র। অগত্যা ফের হ্যামিলটনের কলমেই লেখা শুরু করলেন অনিচ্ছা সত্ত্বেও।

হ্যামিলটনের কলম সংগ্রহের অদ্ভুত নেশা ছিল। বিচারকেরা ফাঁসির আসামিদের নির্দেশ দেওয়ার পর যে কলমের নিব ভেঙে বাতিল করতেন, সেই কলম। মইনুদ্দিন, হ্যামিলটন সাহেবের জন্য যে মহিলাদের নিয়ে আসতেন, তারা সাহেবের শর্তে রাজি না হলে, তাদের খুন করে রক্ত নিয়ে কাচের শিশিতে ভরে অ্যালকোহল মিশিয়ে দিতেন, তারপর রাতের অন্ধকারে সেই সব মহিলাদের দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হত গঙ্গায়।

আর যে মহিলারা শর্তে রাজি হত, তাদের নগ্ন করে শোয়ানো হত মাটিতে। হ্যামিলটন কলমগুলিতে কালি ভরতেন, তার মধ্যে দেওয়া হত কয়েক ফোঁটা, অ্যালকোহল মেশানো জমানো রক্ত। তারপর তিনি ওই মহিলার পাশে শুয়ে সারা শরীরে পেন দিয়ে আঁকিবুঁকি কাটতেন। সারা শরীরে। কখনও লেখা চলতো কবিতা।

এই পুরো পর্ব চলতো ঘণ্টা খানেক ধরে। দর্শক একমাত্র মইনুদ্দিন। ঘরের কোনায় ঠায় বসে থাকতে হত তাকে। এরপর ডাক পড়ত সাহেবের দুই দেহরক্ষীর। মহিলার হাত ও মুখ বেঁধে দেওয়া হত। সাহেবের নির্দেশে রাতভোর চলতো এক নারকীয় উল্লাস। হ্যামিলটন সাহেব, মহিলার মাথার সামনে নগ্ন অবস্থায় বসে বেহালা বাজাতেন। এক অদ্ভুত আনন্দের নেশায় বুঁদ হয়ে যেতেন।

হ্যাজাকের আলোয় গভীর রাত এক এ মায়াময় পরিবেশের সৃষ্টি হত। এই দৃশ্য দেখে মইনুদ্দিন এক অদ্ভুত আনন্দ পেত। মাঝে মধ্যে এই উল্লাস মজলিসে ডাক পেত ইন্সপেক্টর ইন্দ্রনাথ ও তার এক শাগরেদ। ইন্দ্রনাথের শাগরেদ পুলিশে কাজ করতো না, ছিল ইনফরমার।

হ্যামিলটনের কালো অতীত লেখা যত শেষের দিকে গড়াতে থাকলো, ততই অসুস্থ হতে লাগলেন ফ্রান্সিস সাহেব। তিনি অনুভব করতে লাগলেন, প্রায় রাতে তার উপর এক পিশাচের আত্মা যেন ভর করে। হ্যামিলটনের কর্মকাণ্ডগুলো তার ভালো লাগতে শুরু করলো। আশ্চর্য এক দোলাচল, সেই সঙ্গে এও অনুভব করতে লাগলেন, তিনি এক চোরাবালিতে ডুবছেন। এতোদিন কাউকে কিছু বলেননি। এবার অবনীকুমারের কাছে মুখ খুললেন। ঘটনা শুনে অবনীকুমার রায়চৌধুরী স্তম্ভিত, সেই সঙ্গে আশঙ্কিতও।

একে স্বদেশীদের দাপট বাড়ছে, এমন অবস্থায় হ্যামিলটনের কথা প্রকাশ পেলে ক্ষোভের আগুন থেকে তার বন্ধুরও মুক্তি নেই। ফ্রান্সিসের মুখের কথা শুনেই অবনীকুমার মানসিক ভাবে কাহিল। ভয়ে সেই ডায়েরি পড়াতো দূর অস্ত, ছোঁয়ারও সাহস করলেন না। ফ্রান্সিস সাহেবকে নিয়ে যাওয়া হল মেডিক্যাল কলেজে। তিন মাসের চিকিত্সায় শারীরিক উন্নতি ঘটলেও, মানসিক অবস্থা যেই কার সেই।

অগত্যা সাহেবকে, সালকিয়ার এক বিখ্যাত হোমিও প্যাথি চিকিত্সক নলিনীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে গেলেন অবনীকুমার। এখানে মনের কিছুটা বদল এলো। কিন্তু তা যে স্থায়ী হল না বোঝা গেল কয়েক দিনের মধ্যে। ১৬ নভেম্বর ১৯০৪ ভোরবেলা দেহরক্ষীরা ফ্রান্সিস সাহেবের ঘর থেকে গুলির শব্দ শুনতে পান। প্রায় মিনিট পনেরো ডাকাডাকির পর, দেহরক্ষীরা ঘরের দরজা ভেঙে ভারতে ঢোকে। শোবার ঘরে গিয়ে দেখে, ফ্রান্সিস সাহেবের উলঙ্গ দেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে।

শরীরের মধ্যে কালী ছেটানো। মুখ, বুক, পেট, পায়ে কলমের আঁচড়ের দাগ। পাশে পড়ে রয়েছে তিনটে কলম, দুটো অ্যালকোহল মিশ্রিত রক্তের শিশি, ডানহাতে রিভলবার। গুলির চোটে মাথার ডানদিকে কপালের একটা ছোট অংশ উড়ে গিয়েছে। মেঝে জুড়ে রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছে।

অফবিট ভ্রমণের খবরাখবর পেতে আমাদের ইউটিউ চ্যানেল Travel Tv Bangla সাবস্ক্রাইব করুন।

ফ্রান্সিস সাহেবের মৃত্যুর পর ইনস্পেক্টর ইন্দ্রনাথ ও মইনুদ্দিন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। গুজব ওঠে, দুজনে প্রভুত অর্থ নিয়ে দ্বারভাঙ্গা পালিয়েছে। আবার এও শোনা যায়, মইনুদ্দিনকে নাকি রেঙ্গুনে দেখা গিয়েছে। মাঝে খবর ভেসে আসে, দুজনকেই নাকি দেখা গিয়েছে কুষ্টিয়ায়, তারা রয়েছে হ্যামিলটন সাহেবের সঙ্গে। কিন্তু পাকা প্রমাণের খবর কেউ দিতে পারেনি।

হ্যামিলটন সাহেব কুষ্টিয়ায় বদলির পরেই, বছর দুয়েকের মধ্যে রাজবাড়ির জমিদার শঙ্কর রায়ের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে। এই জমিদারের অভিযোগের ভিত্তিতে হ্যামিলটন সাহেবকে ইংল্যান্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। যদিও সেই বদলিনামাতে প্রভাব বিস্তার করে সাহেব রেঙ্গুনে চলে যান। ফ্রান্সিস সাহেবের মৃত্যুর পর, বাংলোটিকে বিভিন্ন অফিসারদের দেওয়া হয়, এমনকী বাঙালি অফিসারদেরও দেওয়া হয়, কিন্তু এক মাসের বেশি কেউ কাটাতে পারেননি। বাংলোটি ধীরে ধীরে পরিত্যাক্ত হয়ে ওঠে।

১৯৩৯ সালে শুরু হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। শিবপুর পুলিশ লাইনেও আনা হল ব্যাপক পরিবর্তন। বেশ কিছু বাংলোর সংস্কার করা হল। নতুন কিছু ঘর নির্মাণ করা হল। ১৯৪০ সালে এক ভূমিকম্পে হ্যামিলটন সাহেবের বাংলোর একটা অংশ ফাটল ধরে হেলে পড়ে। সেই সময় এক ডেপুটি মেজিস্ট্রেট ছিলেন প্রিয়নাথ মল্লিক। হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা। সরকারি আমলা হলেও, মনে প্রাণে ছিলেন স্বদেশী। তিনি যখন এই বাংলোয় আসেন, তখন তেমন কিছু অনুভব করেননি।

তিনি উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষকে জানান, বাংলোর হেলে পড়া বিপজ্জনক অংশ যাতে ভেঙে ফেলা হয়, তার অনুমতি দেওয়া হোক। দিন সাতেকের মধ্যে নির্দেশ আসে, ভাঙার কাজ শুরু হয়। এই সময় তাঁর নজরে আসে, উত্তর পূর্ব কোনে একটি ঘর রয়েছে তালা মারা। তালা ভাঙতেই দেখা যায় ৬ ফুট বা ই৫ ফুটের একটি ঘর। মেঝে কাঠের। সেখানে দুটি কড়া লাগানো রয়েছে। কড়া ধরে তুলতেই নজরে আসে বেসমেন্টে যাওয়ার কাঠের সিঁড়ি। অন্ধকার, দুর্গন্ধপূর্ণ, মাকড়সার জাল, ঝুলে ভর্তি ঘর। ২০ বাই ২০ ফুটের একটি বড় রুম।

সেখানে রাখা আছে দুটো ছোট আলমারি, বেশ কিছু পুরনো কাগজ, ফাইল। একটি সেনা ক্যাম্প খাট, দুটো হোল্ডোল, একটি লোহার সিন্দুক, প্রায় একশোর ওপর কাচের শিশি। সবকটি শিশিই কালো শুকিয়ে যাওয়া রঙে ভর্তি। সিন্দুক ভাঙতে বেরিয়ে এলো, ১২টি কলমের নিব, তার মধ্যে খান দশেক ভাঙা ও সাতটি ডায়েরি। ফ্রান্সিস উড সাহেবের ডায়েরি। ডায়েরি পড়েই শিউরে ওঠেন প্রিয়নাথ।

যুক্ত হয়ে যান আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে https://t.me/Traveltvbangla

১৯৪০ সময়টা আশ্চর্য ডামাডোলের বিশ্বযুদ্ধ শুরু, দেশজুড়ে চরমপন্থিদের প্রবল প্রতাপ চলছে, স্বদেশী দেখলেই কালাপানি পাঠানো হচ্ছে, বাংলা ও পঞ্জাব থেকে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে, ফ্রান্সিস সাহেবের ডায়েরি যেন ঘিয়ে আগুন দেবে। প্রিয়নাথবাবু গোপনে যোগাযোগ করলেন, সালকিয়ার অনুশীলন সমিতির প্রধান যতীন বসুর সঙ্গে।

ডায়েরির মূল বিষয়বস্তু নিয়ে একটি বই ছাপা হল। বাংলা হিন্দি ও ইংরাজিতে। প্রায় ৫ হাজার কপি, উদ্দেশ্য ছিল দেশ জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া। বইগুলি রাখা ছিল, কলেজস্ট্রিটের প্রকাশক কিশোর সেনের বাড়িতে। পরিকল্পনা ছিল সাত দিনে দফায় দফায় বইগুলি পাচার করে দেওয়া হবে।

৭ অগাস্ট ১৯৪০ সালকিয়া থেকে ভোর রাতে প্রথম দফার বই আনতে রওনা দেন যতীন বসু ও আরও দুই সহযোগী। তাঁরা কিশোরবাবুর বাড়ি থেকে ওই বই নিয়ে বেরোনোর মুখে আচমকা পুলিশি আক্রমণের মুখে পড়ে ডায়েরিসহ সমস্ত বইয়ের কপি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গ্রাফতার করা হয় প্রত্যেককে।

প্রায় সাত দিন বাদে ব্রিগেডের মাঠে দেহ মেলে কিশোর সেন, যতীন বসুসহ ৭ বিপ্লবীর। পুলিশ মামলা সাজায় মুখোমুখি সংঘর্ষ। সেই সঙ্গে হারিয়ে যায় এক কালো অতীতের ইতিহাস। কিন্তু ইতিহাস কি সত্যি হারিয়ে যায়? হয়তো না, আত্মা যেমন শরীর বদল করে ঠিক তেমনই, ইতিহাস শ্রুতিকে আধার করে নতুন কোনও কলমের ছোঁয়ায়, নতুন কোনও কোনও কাগজে, কালো হরফে জন্ম নেয়।

২০০৬ সাল পয়লা অগাস্ট। স্বাধীনতা দিবসকে মাথায় রেখে একটি খবর করতে গিয়ে পরিচয় হয় স্বাধীনতা সংগ্রামী অখিলবন্ধু ব্যানার্জির সঙ্গে। ২০০০ সালে তিনি একবার ইউরোপ সফরে যান। ঘুরে দেখেছিলেন লন্ডন শহরটাকে। দেখেছিলেন লন্ডনের প্রকাণ্ড লাইব্রেরি। সেখানে রয়েছে বিশ্বের নিষিদ্ধ বইয়ের একটি বিভাগ। ক্যাটালগে চোখ যায়, এই বইয়ের নামে, গোরা সাহেবের কালো মুখ। সেদিন অন্য সব ভ্রমণ পরিকল্পনা বাদ দিয়ে বইটি তিনি পড়েন, নোট নেন, কিন্তু ছবি তোলার অনুমতি মেলেনি।

এমন নানা কাহানি পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান। আপনার মোবাইল বা ডেস্কটপের স্ক্রিনের বাঁ দিকে নীচে রয়েছে টেলিগ্রাম চ্যানেলের লিঙ্ক, ক্লিক করলেই যুক্ত।

আরও পড়ুন- নৃসিংহপুরের রাজবাড়ি কেন অভিশপ্ত?

আরও পড়ুন- আন্দুলরাজবাড়ি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভুতুড়ে গল্পকাহিনি

আমাদের চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান

About Orbit News

Check Also

ঠোঙা একটি এলোমেলো সফরের কাহিনি

পূর্ণেন্দু ব্যানার্জি- জীবনে কিছু কিছু ঘটনা ঘটে ‌যার ব্যাখ্যা হয়তো বিজ্ঞান বা ‌যুক্তিশাস্ত্রের কাছে থাকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!