অর্বিট ডেস্ক- ধর্মগুরু থেকে পুরোদস্তুর রাজনীতির ময়দানে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট যোগ দেওয়ার পর থেকেই এক নতুন রণকৌশলে আব্বাসের দল। কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগে সুরসুড়ি নয়। বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান নিয়েই জোর সওয়াল করে চলেছেন আব্বাস।
গত ১০ বছরে মুসলিমদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবেই দেখে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি হিন্দুত্ব ভোট নিয়ে সরল মেরুকরণ করে এসেছে। এই দুই দলকে ধরাশায়ী করতে বাম- কংগ্রেসের জোটে নতুন দিশা দেখাচ্ছে আই এফ এস। বাংলার রাজনীতিতে একদম নবীন হলেও আব্বাস সিদ্দিকি যে যুব সম্প্রদায়ের কাছে জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গত বছর লক ডাউন ঘোষণার পর থেকে বেশ কিছু বিতর্কিত ভিডিও দেখা গিয়েছিল আব্বাস সিদ্দিকির। এমনকী বেশ কিছু ধর্মীয় স্থলে তাঁর খোলাখুলি কট্টরপন্থী সভার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু সেই ধর্মগুরু আব্বাস নিজেকে বদলে ফেলেছে অনেকটাই। বরং ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব ধরণের মানুষের কাছে এক নতুন লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন-‘কুটিল চিত্রনাট্য’ ছিল, নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে নিয়ে মুখ খুললেন বুদ্ধ
আব্বাসের প্রত্যেকটি নির্বাচনী জনসভাতেই মানুষের ঢল দিনের পর দিন বাড়ছে। আর এই জনস্রোত কিছুটা হলেও কাঁপিয়ে তুলছে তৃণমূল এবং বিজেপিকে। আব্বাসের নতুন দল গঠনের পর থেকেই তৃণমূল বিজেপি আক্রমণ শানিয়ে আসছ। তাঁদের অভিযোগ, কট্টরপন্থী আব্বাসের সঙ্গে জোট করে বাম-কংগ্রেস বুঝিয়ে দিল তারা একটি মাত্র ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল।
অন্যদিকে, সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা মহম্মদ সেলিমসহ একাধিক নেতাদের দাবি, আব্বাস যে নিখাদ ধর্মনিরপেক্ষ তার প্রমাণ মিলছে নির্বাচনী জনসভাগুলিতেই। তাঁর মুখে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও সুপ্রশাসনের এবং সাধারণ মানুষের কষ্টের কথাই বেরিয়ে আসছে।