প্রথম পর্ব
অর্বিট ডেস্ক- ভিয়েতনামে বেড়াতে যাবো, কিন্তু কেন যাবো?অনেকেই হয়তো রেরে করে বলে উঠবেন, আমার নাম, তোমার নাম ভিয়েতনাম। আধুনিক বিশ্ব ইতিহাসে সবচেয়ে বড়, জটিল যুদ্ধের ইতিহাস লেখা রয়েছে এই ভিয়েতনামেই।তারপর…?তারপর আর কী, কমিউনিস্ট নেতা হো চি মিনের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা পায়।হ্যাঁ আশি শতাংশ যুব সমাজের কাছে হয়তো ভিয়েতনাম সম্পর্কে এমনই উত্তর পাওয়া যাবে।
না কোনও সমালোচনায় নয়, এক ঝলকে দেখে নিই, ভিয়েতনাম, কেন বিশ্বের কাছে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র আজও। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটি কী ভাবে মার্কিনিদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিল।
দ্বিতীয় পর্ব
১৯৫৬ সালে দুটি দেশে বিভক্ত, ভিয়েতনাম, উত্তরভাগকে সমর্থন করছে USSR , PRC (Peoples Republic China) অন্যদিকে দক্ষিণকে সমর্থন দিচ্ছে USA, UK এবং অন্যান্য পশ্চিমী দেশ। কারণ, এই সময় সারা দুনিয়াতেই তখন চলছে কোল্ড ওয়ার বা ঠান্ডা লড়াই। এখানে মনে রাখা দরকার একদিকে ঠান্ডা লড়াই চলছে, তার সঙ্গে জেনিভা চুক্তির পরেও ভিয়েতনামে উত্তর ও দক্ষিণে চাপা লড়াইও জারি ছিল।
তার কারণ, নো ডিং ডিয়াম, যিনি দক্ষিণ ভিয়েতনাম শাসন করছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। ওনার বিরুদ্ধে বহু বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের হত্যা করার অভিযোগ ওঠে, কারণ তিনি নিজে একজন ক্যাথলিক ছিলেন, আর ভিয়েতনামে ক্যাথলিক মাইনরিটি ছিল। ফলে এক লপ্তে ক্ষমতায় আসার পরেই বিধর্মীদের ট্রার্গেট করেন।
ফলে ডিয়ামের বিরোধিতা শুরু হয়। আর এই সময় দক্ষিণ অংশ থেকে তার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে ভিয়েত কোং গোষ্ঠী। এই ভিয়েত কোং গোষ্ঠী মূলত দক্ষিণে গেরিলা যুদ্ধ চালাতো। এটিও কম্যুউনিস্ট পার্টি ছিল, আর এই গোষ্ঠীকে পুরোপুরি মদত দিত উত্তরের হো চি মিন। আর এরা চাইত সম্পূর্ণ ভিয়েতনাম। কোনও উত্তর দক্ষিণ বিভাজন থাকবে না। পুরো স্বাধীনতা চাই।