মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের ইতিহাস। History of Mahakaleswar Jyotirlinga
ভ্রমণ ডেস্ক- ভারতে মোট ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির। এই মন্দির মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নে পবিত্র শিপ্রা নদীর তীরে অবস্থিত। মহাকালেশ্বর মন্দির তৈরি হয়েছে, মারাঠা, ভূমিজ এবং চালুক্য স্থাপত্যরীতিতে। মন্দিরের পাঁচটি স্তর রয়েছে, তার মধ্যে একটি আন্ডাগ্রাউন্ডে। উত্তরে পার্বতী, পশ্চিমে গণেশ, পূর্বে কার্তিক এবং মহাদেবের মুখ দক্ষিণমুখী।
কিংবদন্তী রয়েছে, ষষ্ঠ শতাব্দীতে উজ্জয়নের রাজা চাঁদপ্রদ্যোতের পুত্র কুমারসেনা মহাকালেশ্বর মন্দিরের নির্মাণ করান। পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ দ্বাদশ শতাব্দীতে এই মন্দিরের সংস্কার করান রাজা উদয়াদিত্য, রাজা নরবর্মন। তারও পরে অষ্টাদশ শতাব্দীতে প্রথম পেশোয়া বাজিরাওয়ের আমলে মারাঠা সেনাপতি রানোজি শিন্ডে মন্দিরের সংস্কার করেন।
মহাকালেশ্বর মন্দির নিয়ে কিংবদন্তী
রাজা চন্দ্রসেনা ছিলেন বড় শিবভক্ত। তিনি একবার মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। সেই সময় এক বালক রাজার কাছে যাওয়ার এবং শিব পুজো করার আবেদন জানায়। কিন্তু রাজার কর্মীরা তাঁকে প্রবেশ করতে দেয় না। বালক জেদ প্রকাশ করলে, তাকে শহরের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই বালক, জানতে পারে, উজ্জয়ন রাজ্যকে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে রিপুদমন এবং সিংহাদিত্য নামে দুই রাজা। তাঁদের সাহায্য করছে দূষণ নামক এক রাক্ষস।
এটি জানার পরেই বালক শিবের আরাধনা শুরু করে। এদিকে, রাক্ষস দূষণ হামলা চালাতে শুরু করে। রাজ্যে যখন ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠে, তখন মহাদেব রুদ্রমূর্তি ধারণ করে প্রকট হন। এবং মহাকাল রূপে নগরকে রক্ষা করেন। তাঁর তেজে ভস্মীভূত হয় রাক্ষসসেনা। তাই প্রচলিত কিংবদন্তী, যাঁরা অজ্ঞানে বা সজ্ঞানে পাপ কর্ম করে থাকেন, তাঁরা যদি এই মহাকালেশ্বর মন্দিরের বিভূতি মাখেন তাহলে, অন্তরের রাক্ষস প্রবৃত্তির নাশ হয় ও পুণ্য সঞ্চয় হয়।
মন্দির খোলা থাকে
দর্শন- ভোর ৪টে থেকে সকাল ১১টা।
ভস্ম আরতি ভোর ৪টে থেকে ৬টা।
প্রভাত আরতি সকাল ৭টা থেকে ৭.৩০।
সন্ধ্যারতি বিকেল ৫টা থেকে ৫.৩০।
শ্রী মহাকাল আরতি সন্ধে ৭টা থেকে ৭.৩০।
আরও পড়ুন
মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের ইতিহাস
ওমকারেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের ইতিহাস
ত্রিম্বকেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গের ইতিহাস