স্বাতী চ্যাটার্জি–কোহিমা শহর থেকে প্রায় ২০ কিমিলোমিটার দূরে রয়েছে খোনোমা গ্রাম। দূরত্ব খুব বেশি না হলেও, রাজ্যের রাজধানী থেকে এই গ্রামে পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। এই পথে চলার সময় রাস্তার এক পাশে থাকা একটি মেমোরিয়াল দেখতে পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ থমকে যেতে হয় এখানে। সেখানে লেখা আছে, ‘নাগারা ভারতীয় নয়, তাদের বাসস্থানের সীমানা ভারত সরকারের অধীন নয়। আমরা এই চরম সত্যটির জন্য যে কোনও মূল্যে লড়াই চালিয়ে যাবো।’
লেখাটি পড়ে কি আপনিও দমকে গেলেন? এই লেখা এখনও দেখতে পাওয়া যায় এখানে। এর পিছনে রয়েছে অবশ্য এক লম্বা ইতিহাস। যা বহু ভারতীয়দের কাছেই অজানা। নাগাল্যান্ডের বিদ্রোহের ইতিহাস যদি দেখা যায়, তা কাশ্মীর থেকেও পুরনো। দিনের পর দিন চলছে গুপ্তহত্যা, অপহরণ, আচমকা হামলা, গেরিলা হানা। ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসের পাতায় এক আজব কাহিনি হয়ে ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে নাগাল্যান্ডের বিদ্রোহের কথা।
অনেকেই হয়তো জানি নাগাল্যান্ডের বাসিন্দারা ওখানকার আদি বাসিন্দা। কিন্তু এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। কারণ, ওখানে রয়েছে ১৬টি ভিন্ন উপজাতি। তার মধ্যে দুটি নাগা উপজাতিদের মধ্যে পড়ে না। যেমন দিমাসা কাছারি এবং কুকি। এই ১৬টি উপজাতির সম্পূর্ণ আলাদা ভাষা রয়েছে, রয়েছে স্বতন্ত্র সংস্কৃতি।
ইতিহাসের পাতা থেকে খণ্ডচিত্র
১৮২৪ সালে শুরু হয় অ্যাঙলো বার্মিস যুদ্ধ। সেই সময় উত্তরপূর্ব ভারতের বেশ একটা বড় অংশ দখল করে ব্রিটিশরা। তার মধ্যে অন্যতম জায়গা ছিল নাগা হিলস। বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত নাগা উপজাতিরা এই অঞ্চলে স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালাতো।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এই উপজাতিরা একত্রিত হতে শুরু করে। ব্রিটিশরা ২০০০ নাগা সৈন্যকে নিজেদের লড়াইয়ের জন্য ফ্রান্সে পাঠায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর তারা দেশে ফেরে। এ দিকে ভারতে তখন স্বাধীনতা আন্দোলনের আঁচ বাড়তে থাকে।যদিও সেই আন্দোলনকে নিজেদের লড়াই মনে করত না নাগারা।
১৯১৮ সালে বেশ কিছু নাগা উপজাতি মিলে একটি নাগা ক্লাব গঠন করে। আর এদের মধ্যে একটি বিষয়ই সংঘবদ্ধ করতে সাহায্য করেছিল, সেটা হল খ্রিশ্চানিটি। ১৮৪০ সালে, আমেরিকান ব্যপ্টিস্ট মাইলস ব্রনসন ধর্মপ্রচারে অসম মিশনে, ভারতে আসে। এবং নাগাল্যান্ডের জনজাতিদের মধ্যে তার প্রভাব দ্রুত পড়তে শুরু করে। শুরু হয় ধর্মান্তকরণ।
১৯২৯ সালে সাইমন কমিশন ভারতে আসে। সেই সময় নাগা ক্লাব সাফ জানিয়ে দেয়।, তারা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে রাজি নয়। বরং ব্রিটিশ সরকারের অধীনেই থাকতে চায়। তাদের প্রধান বক্তব্য ছিল, নাগাবাসীদের সঙ্গে মেন ল্যান্ড ভারতের ভাষা, সংস্কৃতির কোনও যোগ নেই। না তারা হিন্দু, না মুসলিম। বরং তারা গরু ও শুয়োরের মাংস খায় বলে, তাদের বৃহৎ অংশের ভারতীয়রা ভালো চোখে দেখে না।
১৯৩৫ সালে যখন গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট তৈরি হয়, তখন নাগা হিলসকে এই আইনের বাইরে রাখা হয়। এদিকে ভারতে যখন স্বাধীনতা আন্দোলন জোরদার হচ্ছে, ঠিক সেই সময়ই নাগা ক্লাবও একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের কাজকর্ম শুরু করে। শুরু হয় নাগা ন্যাশনাল কাউন্সিল বা এন এন সি। তাদের মূল লক্ষ্যই ছিল, নিজেদের জন্য স্বাধীন এক দেশ প্রতিষ্ঠা করা।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় কংগ্রেসের দুটি ধারা যেমন দেখা গিয়েছিল, চরম ও নরমপন্থী। ঠিক তেমনই, নাগা ন্যাশনাল কাউন্সিলের মধ্যেও দেখা দিল। সেই সময় ভারত সরকার এন এন সি-র নরমপন্থী নেতা টি সাকরি ও টি এন অঙ্গামির সঙ্গে কথা বার্তা শুরু করে। এরই ফল স্বরূপ ১৯৪৭ সালে ২৮ জুন নাগাল্যান্ড ভারত সরকারের অধীন হয়ে যায়।
কাহিনি এখানেই হয়তো শেষ হতে পারত, কিন্তু রাজনৈতিক চিত্রনাট্যে মোড় ছিল অন্য জায়গায়। আগেই বলেছি, এন এন সির মধ্যে চরমপন্থীরাও ছিল। তার অন্যতম নেতা ছিল অঙ্গামি জাফো ফিজো। ফিজো সম্পূর্ণ ভারত বিরোধী ছিল। একবার ফিজো বলেছিল, সাদা চামড়ার সরকারের বদলে তারা কালো চামড়ার সরকার চায় না।
গান্ধীর উদার নীতি ও প্রতিশ্রুতি
নাগাল্যান্ডকে স্বাধীন রাখার লক্ষ্যে ফিজো মহত্মা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকে গান্ধী প্রতিশ্রুতি দেন, নাগারা যদি ভারতে যুক্ত হতে না চায়, তাহলে কেউ জোর করবে না। আর ভারত সরকার যদি সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করে, তাহলে নাগা বাসিন্দাদের আগে, তার বুকে গুলি চলবে।
কিন্তু জওহরলাল নেহেরু ও ভারতের কন্সিটিটিউট অ্যাসেম্বলি গান্ধীর বিপরীতে ছিল। নেহেরু ধরেই নিয়েছিল, ভারত-চিনের মাঝে যে চাপান উতোর চলছিল, তাতে নাগারা টিকতে পারবে না। কিন্তু ট্যুইস্ট এলো ১৪ অগস্ট ১৯৪৭ সালে। ভারতের স্বাধীনতার হস্তান্তর হওয়ার আগের দিনই, ফিজো ঘোষণা করে নাগাল্যান্ড একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। পাশাপাশি ১৫ অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা উদযাপনকে তারা বয়কটও করে বসে।
১৯৫২ সালে নাগা আন্দোলন অন্য খাতে বইতে থাকে। এনএনসি নাগাল্যান্ডে একটি গণভোটের আয়োজন করে। তাদের দাবি ছিল, ৯৯.৯৯ শতাংশ বাসিন্দা স্বাধীন নাগাল্যান্ডের পক্ষে। এ ছাড়াও ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনকে তারা পুরোপুরি বয়কট করে।
১৯৫৩ সালে নেহেরু নাগাল্যান্ড সফরে যান। সঙ্গে ছিলেন বার্মার প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়, জনসভায় নেহেরুকে দেখে ব্যাপক টিটকিরি মারা হয়, এমনকী পীঠ দেখিয়ে ময়দান ছাড়ে নাগা বাসিন্দারা। বিষয়টি ভালো ভাবে নেননি নেহেরু। ভারতীয় সেনাকে পাঠানো হয় নাগা হিলসের দিকে। বিরোধ হয়, মারা যান বহু নাগা আন্দোলনকারী।
এই ঘটনার পর, এনএনসি-র নরম ও চরমপন্থীদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। সমস্যা আরও জোরালো হয় ১৯৫৬ সালে। সেই সময় নরমপন্থী নেতা টি সাকরিকে গুলি করে হত্যা করে চরমপন্থীরা। এরপরেই চরমপন্থী নেতা ফিজো পূর্ব পাকিস্তানের সহায়তায় লন্ডনে পালায়। তবে যাওয়ার আগে, গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ হিসেবে নাগাল্যান্ডকে ঘোষণা করে এবং একটি গুপ্ত সেনাবাহিনি গঠন করে।
সময়ের সঙ্গে নাগাল্যান্ডে আইনশৃঙ্খলা যখন তলানিতে আসে, তখন ভারত সরকার আর্মড ফোর্স স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট (১৯৫৮) বা আফস্পা আইন পাস করায়। সেনার অধীনে ছাড়া হয় নাগাল্যান্ডের ভূখণ্ড। এর ফলে বহু মানুষ মারা যান। ১৯৫৬-৫৮ সালের মধ্যে প্রায় ১৪০০ নাগা বাসিন্দা মারা যান।
এই ঘটনার পর এনএনসির বহু সদস্য বিকল্প রাস্তার খোঁজ করতে থাকেন, যাতে শান্তি ফিরে আসে। এনএনসির একটা বড় নেতৃত্ব মিলে এন পি সি বা নাগা পিপলস কনভেশন গঠন করে। এখানে ভিন্ন উপজাতির প্রতিনিধিরা ছিলেন। এনপিসি ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ শুরু করে। এবং ১৯৫৯ সালে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। সেটি হল, নাগা হিলস নিয়ে একটি স্বাধীন রাজ্য তৈরি করা। ১৯৬৩ সালে নাগাল্যান্ড অফিসিয়ালি ভারতের রাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
নাগা শান্তি চুক্তি
এখানে আমাদের মনে রাখতে হবে, ১৯৬৩ সালের আগে নাগাল্যান্ড বলে কোনও শব্দ ছিল না। আগে বলা হত নাগা হিলস। নাগাল্যান্ড অফিসিয়ালি ভারতের অঙ্গরাজ্য হলেও এনএনসি নিজেদের লক্ষ্যে অনড় ছিল। ১৯৬৪ সালে এনএনসি-র কিছু সদস্য চিনে যায় গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে। কিন্তু এনএনসি-র মধ্যে যে ভিন্ন উপজাতি ছিল, তাদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হতে থাকে।
আগেই বলেছি, নাগা হিলসের ১৬টি ভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষার উপজাতি রয়েছে, তাদের মধ্যে দুটি নাগা নয়। এখানেই বিরোধ, এই উপজাতিদের মধ্যে কার প্রভাব বেশি থাকবে, না নিয়ে গণ্ডগোল চলতো।
ইন্দিরা গান্ধী এই কার্ডকেই কাজে লাগায়। ভারত সরকার, নাগাল্যান্ডের প্রভাবশালী উপজাতিগুলির নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে। এর পরেই ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে শিলঙে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, ভারত সরকার ও নাগার উগ্রপন্থী নেতাদের সঙ্গে। এই চুক্তি অনুসারে, নাগার চরমপন্থীদের ভারত সরকারের সংবিধান গ্রহণ করতে হত এবং স্বাধীন নাগাল্যান্ডের দাবি থেকে সরে আসতে হত।
কিন্তু এনএনসি-র বেশ কিছু নেতা, যারা চিনের থেকে সাহায্য পাচ্ছিল, তারা এই শিলং চুক্তির বিরোধিতা করে। এরাই ১৯৮০ সালে মায়ানমারে এনএসসিএন নামে একটি সংগঠন তৈরি করে। তাদের দাবি ছিল, একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র যা শুধুমাত্র নাগাদের জন্যই হবে। দ্যা গ্রাটার নাগাল্যান্ড।
বৃহত্তর দাবির জন্য লড়াই
গ্রেটার নাগাল্যান্ডের মধ্যে শুধু নাগা হিলসই নয়, তার মানে, অসম, অরুণাচল, মণিপুরেও বহু নাগা থাকে, সেখানকার বেশ কিছু অঞ্চলও গ্রেটার নাগাল্যান্ডের আওতায় আনতে হবে, এমনই দাবি ছিল।
১৯৯৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, নাগা উগ্রপন্থীরা, মণিপুরে ১১৩জন কুকি উপজাতির মানুষদের মেরে ফেলে। এটা করার কারণ ছিল, নাগাদের জন্য আলাদা একটি দেশের সীমানা তৈরি ও আধিপত্য জমানো।
প্রথম দিকে বেশ কিছু নাগা সংগঠন যেভাবে ভেঙে গিয়েছিল, ঠিক তেমনই এনএসসিএন-ও ১৯৮৮ সালে ভেঙে যায়, কারণ উপজাতিদের মধ্যে বিরোধ।
১৯৯০ সালে এনএসসিএনের বেশ কিছু শীর্ষ নেতা থাইল্যান্ডে গা ঢাকা দেয়। তারপরেও ভারত সরকার তাদের সঙ্গে বার্তা চালাতে থাকে। ১৯৯৫ সালে পি বি নরসিমা রাও, ১৯৯৭ সালে দেবেগৌড়া, ১৯৯৮ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী।
এই কথাবার্তা চলাকালীন ভারতসরকার ওই দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে। ২০১৫ সালে এনএসসিএন (কে) খাপলং গোষ্ঠী ভারতীয় সেনার প্লাটুনে ভয়াবহ হামলা চালায়। তবে দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পর, হামলা, হত্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
এখন প্রশ্ন, জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি এখনও আছে, অথচ হামলা কেন কম? কারণ দুই গোষ্ঠীর নেতারাই অত্যন্ত আরাম আমোদ প্রমোদে রয়েছে। স্থানীয় এক ব্লগার ও সাংবাদিক মেকপিস সিথু বলেছেন, সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ফলে, জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা আর জঙ্গলে লড়াই করে না। কারণ সরকারি অনুদান পাচ্ছে, শিল্প ও ব্যবসায়ীদের কাছে তোলা আদায় করছে এবং মাদকপাচার করে বিপুল আয় করছে।
আরও পড়ুন- এখানে অশ্বত্থামাকে দেখা যায়! বেড়িয়ে আসুন রোমাঞ্চকর এক জায়গায়
বর্তমানে নরেন্দ্র মোদী সরকার চাইছে, এই পুরো সিস্টেমটাইকেই উপড়ে ফেলতে। কার্যত নিজেদের আয়েশের জন্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। তাই এনএসসিএন- (আইএম) গোষ্ঠীর সঙ্গে একটি চুক্তি করে। অন্যদিকে খাপলং গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনও চুক্তি করেনি। কারণ ২০১৫ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছিল।
২০২০ সালে আইএম গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি হলেও, এখনও নাগাল্যান্ডে বিচ্ছিন্নভাবে প্রভাব রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির। এর পিছনে অবশ্য কতগুলি সামাজিক কারণ রয়েছে। একদিকে ভারত সরকার ও সেনা অন্যদিকে, জঙ্গিগোষ্ঠী। আর এর যাঁতাকলে পড়ে রয়েছে, নাগাল্যান্ডের সাধারণ মানুষ ।
জঙ্গি উপদ্রুত হওয়ায়, ওই অঞ্চলের সামাজিক প্রকল্প ও আর্থিক উন্নয়নে নজরও দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে, নাগাল্যান্ডে কর্মসংস্থানের একটি বড় সমস্যা। ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান বলছে, নাগাল্যান্ডের বেকার সমস্যা ভারতের অন্য রাজ্যের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ছিল।
নাগাল্যান্ডবাসীদের আরও একটি বড় অভিযোগ হল, বাংলাদেশ থেকে বহু অনুপ্রবেশকারী নাগাল্যান্ডে বাসা জমাচ্ছে। বাংলাদেশীরা মূলত, শ্রমিকের কাজ করে থাকে, যে কাজগুলি নাগাল্যান্ডের লোকেরা পছন্দ করে না। নাগাবাসীদের মত, অসমের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশীরা নাগাল্যান্ডে প্রবেশ করছে। ফলে রাজনীতি চরম আকার নিচ্ছে।
নাগারা হামলা চালাচ্ছে, এতে শিকার হচ্ছেন ভারতীয় মুসলিমরাও। ফলে সার্বিক চিত্র যদি দেখা যায়, নাগাল্যান্ডের রাজনৈতিক, সামাজিক ছবিটা অত্যন্ত জটিল। অতি সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেটি হল, ভারতীয় সেনার কয়েকজন কর্মীকে নাগা গেরিলা আর্মি পণবন্দি করে রেখেছে। ভারতীয় সেনার কর্মীরা বলছে, তারা পথ ভুল করে এসেছে।
আরও পড়ুন- বারাণসীতে আমি ও সেই মেয়েটা
অন্যদিকে, তাদের বলা হচ্ছে, এটি আপনাদের এলাকা নয়, নাগাল্যান্ডের এলাকা। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, চোরা গোপ্তা পথে এখনও চলছে নাগাল্যান্ডকে বিচ্ছিন্ন করার কৌশল। যদিও বহু নাগা নাগরিকদের মত, চোরাগোপ্তা পথে যারা এই আন্দোলন করছে, তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ পাশে নেই। এই আন্দোলন চালানো হচ্ছে শুধু নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য নয়।