প্রথম পর্ব- আলেপ্পি, ক্যুইলন, ভারকালা, ত্রিবান্দ্রম
অর্বিট নিউজডেস্ক– নীল সমুদ্রের পাড়ে নারকেল গাছে ছাওয়া কেরালা, কেরা অর্থ নারকেল আর আলয়ম হচ্ছে দেশ। অর্থাত নারকেলের দেশই কেরালা। আরব সাগরের তীরে পাহাড়, পর্বত অরণ্য নিয়ে সুন্দরী কেরালা। কেরালার পূর্বে চিরসবুজ পশ্চিমঘাট পর্বত। প্রাচীনকাল থেকেই কেরালার মশলার খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছেছিল বিদেশে।
খ্রিস্টপূর্ব কাল থেকেই গ্রিস রোম, আরব, চিন ও পরে পর্তুগিজ, ফরাসি ও ইংরেজ বণিকেরা ভিড় জমিয়েছেন কেরালার উপকূলে। ৮২৫ খ্রিঃ চেরা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয়। ৯২৫ খ্রিঃ চেরাদের পরিজিত করে চোলরা ক্ষমতা দখল করে।
১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে কেরালার উপকূলে পা রাখেন পর্তুগিজ ভাস্কো দা গামা। ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে কেরালায় প্রথম ব্রিটিশ উপনিবেশ গড়ে ওঠে। স্বাধীনোত্তর ভারতে ১৯৫৬ সালে ত্রিবাঙ্কুর, মালাবার ও কোচির সঙ্গে দক্ষিণ কানাড়া জেলা জুড়ে জন্ম নিয়েছে আজকের কেরালা রাজ্য। সরকারি ভাষা মালায়লম। শিক্ষায় সারা ভারতে প্রথম স্থান কেরালার।
ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে পুরুষের থেকে নারীর সংখ্যা বেশি। উত্সব আর নৃত্যগীতে সমৃদ্ধ কেরালার জীবন। থেইয়াম, কালারিপায়াত্তু- আদিবাসী নাচ আর কথাকলি, মোহিনীআট্টম, ধ্রুপদী নৃত্যের দীর্ঘ ইতিহাস কেরালার। কেরালার জাতীয় উত্সব ওনম। অগাস্ট সেপ্টেম্বরে ধান কাটার উত্সব হল ওনম।
কথিত আছে, অসুর রাজ মহাবলির রাজ্য ছিল কেরালা। বিষ্ণু বামন অবতার রূপে মহাবলীর কাছে তিন পা জমি প্রার্থনা করেন। বিষ্ণুর দু’পা রাখতেই স্বর্গ মর্ত্য ঢেকে যায়। দেবতার ছলনা বুঝেও তৃতীয় পায়ের জন্য নিজের মাথা পেতে দেন মহাবলী। বামন রূপী বিষ্ণু পায়ের চাপে পাতাল প্রবেশ হয় মহাবলীর।
পাতালগামী মহাবলীর অন্তিম ইচ্ছে অনুসারে বছরে একবার চারদিনের জন্য প্রজাদের কাছে ফিরে আসেন মহাবলী। সেই সময় মহাআড়ম্বরে পালিত হয়। ওনম উত্সব। কেরালার অন্যান্য বর্ণময় উত্সবের মধ্যে রয়েছে। জানুয়ারির ৯-১২ এলিফ্যান্ট মার্চ। ত্রিশুর ও তিরুবনন্তপুরমের জনপ্রিয় এই হাতি উত্সব দেখতে পর্যটকেরা ভিড় জমান।
ডিসেম্বরের শেষে কোচিতে পালিত হয় নববর্ষের উত্সব। অগাস্ট মাসের দ্বিতীয় শনিবারে আলেপ্পির পম্পা নদীতে চলে জমজমাট বোট রেস। প্রকৃতিক সৌন্দর্য আর উত্সব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কেরালায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ, ব্যাক ওয়াটার ক্রুইজ। আল্লেপি ক্যুইলনের মতো সমুদ্রতীরবর্তী অনেক জায়গায় রয়েছে রোমাঞ্চকর ক্রুজের ব্যবস্থা।
আলেপ্পি, ক্যুইলন, ভারকালা, ত্রিবান্দ্রম।
আলেপ্পিতে কী দেখবেন? প্রচ্যের ভেনিস কেরালার আল্লেপি ব্যাকওয়াটারে ঘেরা। খাল নদী আর হ্রদে ভরা আলেপ্পি, অতীতে ত্রিবাঙ্কুর রাজাদের বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছিল। পুরো শহরটাই খালপথে ঘেরা। আলেপ্পির একপাশে রয়েছে আরব সাগর, অন্যদিকে ভেম্বানাদ হ্রদ। আর পুনামাডা হ্রদ। সাগর আর হ্রদ থেকে উত্পন্ন ছোট বড় খাঁড়ি পথ মাকড়সার জালের মতো বিছিয়ে রয়েছে আলেপ্পি ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে ।
জলকে ঘিরে এই জনপদের বেড়ে ওঠা। শহরের বোট জেটি থেকে নৌক অথবা মটরবোট ভাড়া করে ঘুরে দেখুন আলেপ্পির ব্যাক ওয়াটারের সৌন্দর্য। জলপথে ঘোরার সময় চোখে পড়বে, কুট্টানাদ চাষের ক্ষেত, ট্র্যাডিশনাল গ্রাম্য বাড়ি ঘর, চাইনিজ ফিশিং নেটে মাছ ধরার অদ্বুত কৌশল।
শহরের একপ্রান্তে রয়েছে আলেপ্পির সৈকত। দেখে নিন সাগরতীরের বিজয়া বিচ পার্ক। এ ছাড়াও আছে সি ভিউ পার্ক। শহর থেকে ১৫ কিমি দক্ষিণে আম্বালা, পুঝা শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের গঠন শৈলী নজর কাড়ে। এসব দেখতে আলেপ্পি থেকে অটো ভাড়া করতে হবে।
আলেপ্পি বাসস্ট্যান্ডের অদূরে, বোট জেটির সামনে রয়েছে, ডিটিপিসির ট্যুরিস্ট অফিস, এরা সিজিনে আলেপ্পি থেকে ক্যুইলন ব্যাক ওয়াটার লঞ্চ ক্রুজের ব্যবস্থা করে। ক্যুইলন পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় ৮ ঘণ্টা। আল্লেপির বেশ কয়েকটি বেসরকারি পর্যটন সংস্থাও আলেপ্পি-ক্যুইলন লঞ্চ ক্রুজের ব্যবস্থা করে।
আলেপ্পির ব্যাক ওয়াটারের আরও একটি আকর্ষণ হাউসবোট। স্থানীয় নাম কেট্টুভল্লাম। এই জলযান একমাত্র কেরালার ব্যাক ওয়াটারে মেলে। নানা ধরণের প্যাকেজে এতে চেপে ব্যাক ওয়াটারে ঘোরা যায়।
কীভাবে যাবেন- আলেপ্পি থেকে ত্রিবান্দ্রম ১৬০ কিমি। এর্নাকুলাম ৭০ কিমি, কোট্টায়াম ৫০ কিমি, ক্যুইলন ৮৭ কিমি। থেক্কাডি ১৬৪ কিমি। উল্লেখিত স্থাগুলি থেকে নিয়মিত বাস রয়েছে আলেপ্পিতে। হাওড়া থেকে যেতে গেলে প্রথমে চেন্নাইগামী ট্রেনে প্রথমে চেন্নাই। চেন্নাই সেন্ট্রাল থেকে ট্রেন ধরতে পারেন চেন্নাই আলেপ্পি এক্সপ্রেসে। আলেপ্পি স্টেশন থেকে বোট জেটি ও বাসস্ট্যান্ড প্রায় ৪ কিমি দূরে। শহরে প্রচুর অটো রয়েছে জলপথে রয়েছে ফেরি। আলেপ্পির স্থানীয় নাম আলপুঝা।
ক্যুইলনে কী দেখবেন- আলেপ্পির মতো ক্যুইলনও ব্যাকওয়াটারের দেশ। অষ্টমুড়ি হ্রদের তীরে গড়ে ওঠা এই জনপদ, মালাবার উপকূলের প্রাচীন বন্দর। এখান থেকে অতীতে ভিন দেশে রফতানি হত, কাজুবাদাম, নানা ধরণের মশলা প্রভৃতি দ্রব্য। এই জনপদের একাংশে আরবসাগর। প্রচুর কাজুবাদাম আর মশলা উত্পন্ন হয়।
ক্যুইলনের আশপাশের গ্রামে। আলেপ্পি থেকে লঞ্চ ক্রুজে ক্যুইলন আসার পাঁকে দেখুন, ব্যাকওয়াটারের মন ভোলানো রূপ। অষ্টমুড়ি হ্রদের জলে দেখুন সার দিয়ে বাঁধা চিনা জালের সারি। অদ্ভুতসব জাল দিয়ে মাছ ধরার কৌশল লক্ষ্য করুন।
শহর থেকে ৫কিমি দূরে রয়েছে থাঙ্গাসেরি গ্রাম। সাগরতীরে রয়েছে ১৪৪ ফুট উঁচু বাতিঘর, এ ছাড়া আছে পর্তুগিজ দুর্গ ও চার্চ। ৬ কিমি দূরে থিমুমুল্লাভরম সৈকতটিও অনবদ্য। দেখে নিন মাতা অমৃতানন্দময়ী আশ্রম। অবশ্যই যাবেন ডি টি পি সির ভিলেজ ব্যাক ওয়াটার ট্যুরে। ক্যুইলন বোট জেটির কাছে রয়েছে এদের ট্যুই বুকিং অফিস।
আরও পড়ুন- কাশ্মীর ও হিমাচলপ্রদেশের দুটি জবরদস্ত ট্যুর প্ল্যান
এখান থেকে প্রথমে গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে ১৫ কিমি দূরে মুনরো গ্রামে। সেখান থেকে স্থানীয় নৌকায় ঘোরানো হবে ব্যাকওয়াটার গ্রামে। এই ট্যুরটিও দারুণ উপভোগ্য। ক্যুইলন থেকে আলেপ্পির পথেও আট ঘণ্টার লঞ্চ ক্রুজ আছে। ক্যুইলনের আশে পাশের দ্রষ্টব্য দেখতে অটো ভাড়া করে নিতে পারেন। আলেপ্পির মতো, ক্যুইলনেও রয়েছে হাউস বোট। বুকিং করে ডি টি পি সি, কে টি ডি সি।
কীভাবে যাবেন- আলেপ্পি থেকে ক্যুইলনের মধ্যে বাস যোগাযোগ থাকলেও জলপথে যাওয়াটা আনন্দের। ত্রিবান্দ্র থেকে বাস আসছে ক্যুইলনে। এই পথের দূরত্ব ৭২ কিমি। আলেপ্পি থেকে বাস পাবেন ক্যুইলন যেতে। চেন্নাই থেকে ক্যুইলন আসছে, ত্রিবান্দ্রম মেল। ক্যুইলনের স্থানীয় নাম কোল্লাম।
ভারকালার সৈকত- কেরালার অন্যতম সুন্দর সৈকত ভারকালা, বিদেশী পর্যটকদের পছন্দের জায়গা।থাকা খাওয়া আর দিনভর সাগরস্নানের ঢালাও আয়োজন রয়েছে এখানে। এই সৈকতে ভারতীয় পর্যটকদের ভিড় কম। পরিচ্ছন্ন সাগরবেলা সবুজ প্রকৃতি আর পাহাড়ি চিলায় সাজানো সৈকত।
ভারকালার সৈকতের নাম পাপনাশম। স্থানীদের বিশ্বাস এখানে স্নান করলে পুণ্য লাভ হয়। কথিত আছে, এখানে দেবতা নারদ ভাল্লাকালাম বা বল্কল পরিত্যাগ করেছিলেন। তাই এই জনপদের নাম ভারকালা। অনেক নারকেল গাছের বাগান রয়েছে এখানে। সাগরতীরে যাওয়ার পথে রয়েছে কেরলীয় শিল্প ঘরানায় তৈরি প্রায় দু হাজার বছরের প্রাচীন শ্রী জনার্দন স্বামী মন্দির। মন্দিরের দিনভর দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই আছে। মন্দিরের কাছে রয়েছে পবিত্র জলকুণ্ড এখান থেকে সামান্য এগোলেই পৌঁছবেন পাপনাশম সৈকতে। ধনুকাকৃতির সৈকত।
আরও পড়ুন- অফবিট উইকেন্ডের খোঁজ করছেন? ঘুরে আসুন কাহালগাঁও
একপাশে লাল পাহাড়ের দেওয়াল তার মাঝে রয়েছে শীতল জলের প্রস্রবণ। বিচ ধরে হাঁটতে থাকুন সামনে, মাঝারি মাপের সৈকত হঠাত শেষ হয়ে গিয়েছে, জল ছোঁয়া টিলার গায়ে। ভারকালার সৈকতে জলক্রিড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বিচ ছোঁয়া টিলার স্থানীয় নাম ক্লিফটপ। টিলার গা বেয়ে সিঁড়ি উঠেছে ওপরে।
সেখানে সার দিয়ে রয়েছে হোটেল রিসর্ট রেস্তরাঁ। কিউরিও শপ আর মাসাজ পার্লার। ভালো মানের সি ফুডের রেস্তরাঁও আছে এখানে। ক্লিফটপের উপর থেকে সাগরের দৃশ্য অনবদ্য। ক্লিফটপ পেরিয়ে হেঁটে পৌঁছনো যায়, অদূরে অচেনা সৈকতে। এখান টিলার মাথায় শিবগিরি মঠ। আর সাগরজলে অস্তসূর্যের রঙের খেলাও রয়েছে।
কীভাবে যাবেন- ক্যুইলন থেকে সরাসরি ভারকালা যেতে গেলে গাড়িভাড়া করতে হবে। দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিমি। সরাসরি বাস খুব এপথে। বাসে গেলে ক্যুইলন বোট জেটি লাগোয়া ব্সস্ট্যান্ড থেকে চলুন ত্রিবান্দ্রগামী বাসে। এ বাসে চেপে নামবেন কাল্লাম বালাম স্টপেজে। সেখান থেকে বাস অটো পারবেন ১৫ কিমি দূরে ভারকালা যেতে। জনার্দন স্বামী মন্দিরের কাছে গিয়ে বাস থামবে। সেখান থেকে ২ কিমি দূরে ক্লিফটপ যেতে অটো পাবেন।
ত্রিবান্দ্রম – কোভালম- কেরালার রাজধানী শহর ত্রিবান্দ্রম বা তিরুবনন্তপুরম ব্যস্ত শহর। ত্রিবান্দ্র রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র। কেরালার ভূবনবিখ্যাত সাগরবেলা কোভালাম এখান থেকে মাত্র ১৬ কিমি দূরে। ত্রিবান্দ্রম দর্শনের জন্য অটো বা গাড়ি ভাড়া করতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে কেরালা পর্যটনের কন্টাক্টেড ট্যুর। এদের সারাদিনের ট্যুর রয়েছে আবার হাফ ডে ট্যুরও হয়। বুকিং হয় স্টেশনের বীপরিতে হোটেল চৈত্রম লাগোয়া কে টি ডি সির ট্যুরিস্ট অফিস থেকে।
আরও পড়ুন- রাজস্থান সার্কিট ট্যুরের জনপ্রিয় সফর প্ল্যান
প্রথমে দেখুন ইস্ট ফোর্ট রোডে অবস্থিত পদ্মনাভস্বামী মন্দির। এটি বিষ্ণুমন্দির। কাছে রয়েছে পুথেনমালিকা প্যালেস মিউজিয়াম। এই প্রাসাদ তৈরি করেন ত্রিবাঙ্কুরের মহারাজ বলরাম ভর্মা। শহরের কেন্দ্রে পার্ক ভিউ অঞ্চলে দেখবেন নেপিয়ার মিউজিয়াম। মিউজিয়াম ভবনের গঠনশৈলী অসাধারণ।
এখানে অন্যভবনে রয়েছে শ্রীচিত্রা আর্ট গ্যালারি এছাড়া আছে চিড়িয়াখানা। শহরে আরও দেখবেন কানাকাকুন্নু প্রাসাদ, সায়েন্স মিউজিয়াম, প্রিয়দর্শীনি প্ল্যানেটোরিয়াম, বিধানসভা ভবন, নেহেরু চিলড্রেন্স মিউজিয়াম।
আরও পড়ুন- ছোট ছুটিতে ঘুরে আসুন অফবিট ওডিশা
শহর থেকে ১০ কিমি দূরে কোভালাম যাওয়ার পথে রয়েছে থিরুভল্লম ব্যাকওয়াটার। কাছেই রয়েছে পরশুরাম মন্দির। ৩২ কিমি দূরে নেইয়ার ড্যাম। অসাধারণ এক পিকনিক স্পট। ভালো লাগবে আট কিমি দূরে শঙ্খুমুখম সৈকত ভেলি ট্যুরিস্ট ভিলেজ, আকুলাম ট্যুরিস্ট ভিলেজ। ত্রিবান্দ্রমে বেড়াতে আসা কিন্তু কোভালাম সৈকতের টানে। শহর থেকে প্রতিনিয়ত বাস অটো যাচ্ছে ১৬ কিমি দূরের এই সৈকতে।
ভ্রমণের নানা খবরাখবর পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপ ভ্রমণ আড্ডা (নকল হইতে সাবধান) অথবা টেলিগ্রাম চ্যানেল Orbit News জয়েন করুন। বিশেষ সহায়তার প্রয়োজন হলে হোয়্যাটস অ্যাপ করুন- 9073503958 নম্বরে
কোভালামে সবসময়ই পর্যটকদের ভিড় থাকে। প্রচুর হোট রয়েছে সাগরতীরে রাত কাটানোর জন্য। লাইটহাউস বিচ, ইভ বিচ আর হাওয়া বিচ এই তিন ছোট ধনুকাকৃতি সৈকত নিয়ে কোভালামের বিস্তার। বিচের ধারে রয়েছে সবুজে মোড়া টিলা পরিচ্ছন্ন বিচের একপাশে সুউচ্চ বাতিঘর। সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন ত্রিবান্দ্রম থেকে ৬১ কিমি দূরে নিরালা হিল স্টেশন।, পোনমুড়ি থেকে। এ পথে বাস গেলেও গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া ভালো।
কীভাবে যাবেন- ভারকালা থেকে ৪০ কিমি দূরে ত্রিবান্দ্রম। বাস যাচ্ছে নিয়মিত। কলকাতা থেকে সরাসরি ত্রিবান্দ্রম যাওয়ারও ট্রেন রয়েছে।
পরবর্তী পর্ব- কোচিন মুন্নার পেরিয়ার