অর্বিট ডেস্ক- মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তুফানের মতো আছড়ে পড়েছে। যদিও আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিন তিনি জানান, দেশে ভ্যক্সিন উতপাদনের মাত্রা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। এদিকে ভ্যক্সিনেশনের ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম, ১ মে-র পর থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই ভ্যক্সিন পেতে পারেন।
পাশাপাশি ভারতে যা ভ্যক্সিন উত্পাদন হবে তার ৫০ শতাংশ রাজ্য ও হাসপাতালগুলিকে দেওয়া হবে। এছাড়া, ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে, নিম্নমধ্যবিক্ত, মধ্যবিত্তসহ ব্যক্তিদের সরকারি ভ্যক্সিন প্রকল্পের মাধ্যমে ভ্যক্সিন দেওয়া হবে।
তিনি ঘোষণা করেন, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ভ্যক্সিন দান প্রক্রিয়া চলবে। দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই লকডাউন জারি হয়েছে। ফের আগের মতো অবস্থা হবে না তো? আতঙ্কিত পরিযায়ী শ্রমিকেরা। বাড়ির ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। লকডাউনের প্রশ্নই উঠবে না, নাইট কার্ফুও জারি করতে হবে না, যদি আমরা সকলে মিলে করোনা বিধি মেনে চলি’। রাজ্যগুলিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘বিশ্বে সবচেয়ে সস্তায় ভ্যাকসিন পাওয়া যায় ভারতেই। তাই ভারতের ভ্যাকসিনের চাহিদা বিশ্বজুড়ে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টিকাকরণ চলবে। রাজ্যগুলিতে দ্রুততার সঙ্গে ভ্যাকসিন পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি’। তাঁর কথায়, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের স্বাস্থ্য কর্মী, সামনের সারিতে থাকা করোনা যোদ্ধা ও প্রবীণদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।