অর্বিট ডেস্ক- প্রথম তিন দফার ভোটেই প্রায় আট জন প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। কোনও প্রার্থীকে চড় মারা হয়েছিল, কাউকে বা বাঁশ দিয়ে। এমনকি কিছু প্রার্থীর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। দ্বিতীয় দফার ভোটে কেশপুরে সংবাদমাধ্যমের উপরেও হামলা চলেছিল। শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারে শীতলকুচিতে সিআরপি এপের গুলিতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দফা যত এগোচ্ছে ততই উত্তাপ বাড়ছে নির্বাচনের। তাই এই চারদফা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে কলকাতা পুলিশ। শনিবার চতুর্থ দফার নির্বাচনেও কলকাতায় বিভিন্ন বুথে কড়া নজরদারি দেখা যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার যে যে থানা এলাকায় ভোট, সেই সব এলাকার প্রার্থীদের নিরাপত্তা গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেদেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও জায়গায় সামান্য বিক্ষোভের আঁচ পেলে বা প্রার্থীকে ঘেরাও অথবা উত্তেজনা দেখা দিলে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ রয়েছে।
নির্বাচনের সময় ভিন্ন দলের প্রার্থীরা নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। তার পরেও পুলিশি নিরাপত্তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হামলা চলে। কার্যত চুপচাপ দেখতে হয় পুলিশকে। এ ছিত্র বারবার ফুটে ওঠে। এবার এমন কোনও পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার দিকেই বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।
নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটচ গ্রহণের সময় ২০০ মিটারের বাইরের অংশে নজরদারির দায়িত্ব কলকাতা বা রাজ্যপুলিশের। ২০০ মিটারের মধ্যে হলে দায়িত্ব বর্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর। ফলে বুথের ২০০ মিটারের আগেই যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না হয়, তার ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী পুলিশ।