অর্বিট ডেস্ক- শনিবার চতুর্থ দফার ভোটকে কেন্দ্র রণক্ষেত্রে হয়ে ওঠে কোচবিহারের শীতলকুচি। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। এদিনই শিলিগুড়িতে দুটি নির্বাচনী সভা করে নরেন্দ্র মোদী, পরে কৃষ্ণনগরে। এদিন মৃত্যুর ঘটনাকে দুঃখজনক বলে অবিহিত করেন। যদিও এই মৃত্যুর জন্য যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানি দায়ি তারও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন।
দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে, নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বারবার বিজেপি ও বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিজেপির নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহের নাম উল্লেখ করেই একাধিকবার ব্যক্তিগত আক্রমণ শানান।
পাশাপাশি, আম জনতার প্রতি বারবার আবেদন করে, হাতা খুন্তি নিয়ে ময়দানে নামার। রাজনৈতিক মহলের মত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। যার পরিণাম দেখা গেল শনিবার শীতলকুচিতে। পাঁচ জনের মৃত্যু।
জনসভায় নরেন্দ্র মোদী যা বলেছেন-
• দিদির লোকেরা ছাপ্পা ভোট দিতে পারছে না, তাই দিদি রেগে যাচ্ছেন। আমাকেও কুকথা কথা বলছেন।
• দিদির এক নেতা বলেছেন তফসিলি সম্প্রদায়ের লোকেরা ভিখারির মতো করে। এত বড় কথা। আসলে তফসিলি সম্প্রদায়ের লোকেরা বিজেপি-র সমর্থনে থাকায় দিদি রেগে যাচ্ছেন।
• আমি একটা ভিডিও দেখেছি দিদির মন্ত্রী ক্যামেরার সামনে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। এটাই দিদির ১০ বছরের শাসনের ফল। বিজেপি-কে ভোট দিলে দিদির লোক তাঁদের বাইরে ফেলে দেবে? এত সাহস। বাংলার সব মানুষ থাকবে। দিদি আপনিই যাবেন। আপনার সঙ্গে তোলাবাজ, কাটমানিও যাবে।
• বিজেপি ক্ষমতায় এলে তোলাবাজ মুক্ত, কাটমানি মুক্ত বাংলা হবে।
• কোচবিহারে যা হয়েছে খুব খারাপ হয়েছে। আমার সমবেদনা। বিজেপি-র দিকে সমর্থন দেখে দিদি ও তাঁর গুণ্ডাবাহিনী ক্ষেপে গিয়েছে। এ ভাবে হিংসা করে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে আক্রমণ করে কিছু হবে না। আমি কমিশনকে আবেদন জানাচ্ছি কড়া ব্যবস্থা নিতে।
• উত্তরবঙ্গ বুঝিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল যাচ্ছে, বিজেপি আসছে। বাংলার মানুষের ইচ্ছাশক্তি দেখে সবাই অবাক। এই ইচ্ছাশক্তি আসল পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
• আমার সৌভাগ্য আমি আবার উত্তরবঙ্গে আসতে পেরেছি। উত্তরবঙ্গ আমাকে অনেক ভালবাসা ও আশীর্বাদ দিয়েছে।
• যারা রোদে এসেছেন তাঁদের কষ্ট বৃথা যাবে না।
• রামমন্দিরের ছবি দিয়ে স্বাগত জানানো হল মোদীকে। দেওয়া হল প্রধানমন্ত্রীর মায়ের ছবিও।